Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

বিআরডিবি‘র সারসংক্ষেপ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার ফসল “বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ( বিআরডিবি)”।সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলতে তিনি মেধা, শ্রম,ধ্যান-জ্ঞান এক কথায় সর্বশক্তি বিনিয়োগ করেন । তিনি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলেন বাংলাদেশকে একটি আত্ম-নির্ভরশীল, ক্ষুধা- দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই গ্রামের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।আর গ্রামের উন্নয়ন ঘটাতে হলে এমন সব পদক্ষেপ নিতে হবে যার মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার একটা গুণগত পরিবর্তন ঘটে। 


পল্লীর জনগোষ্ঠীকেসংঘটিত করে মানব ও বস্তুগত সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার, কৃষি ও অ-কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও মূলধন সহায়তা প্রদান সহ পল্লীর জীবন মান উন্নয়ন এবং সামাজিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামগ্রিক পল্লী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে । আর এ জন্যই তিনি ষাট এর দশকে ডঃ আকতার হামিদ খান কর্তৃক আবিষ্কৃত বিশ্বনন্দিত কুমিল্লা মডেলের দ্বি-স্তর সমবায় পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য হাতে নেয়া “সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি (আইআরডিপি)” কে ১৯৭২ সালে সারাদেশে সম্প্রসারণ করেন।সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এর কার্যক্রম ব্যাপক সফলতা অর্জন করে।১৯৮১ সালে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে আইআরডিপি’র সার্বিক কার্যক্রম মূল্যায়নে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। এ যৌথ সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী আইআরডিপি’র সাফল্যকে আরও সুসংহত করার উদ্দেশ্যে ১৯৮২ সালে সরকার এই সফল কর্মসূচীকে “বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে” রূপান্তর করেন ।

 
বিআরডিবি’র কার্যক্রম সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় ষাট দশক থেকে এ পর্যন্ত পল্লী উন্নয়ন সেক্টরে যেসব ইতিবাচক  পরিবর্তন ঘটেছে এবং এখনও পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে  তার সবই হচ্ছে দ্বিস্তর সমবায়ের মাধ্যমে আইআরডিপি তথা বিআরডিবি’র প্রভাব থেকে বা অভিজ্ঞতা থেকে। সময়ের আবর্তে সরকারি নীতি ও কৌশলের সাথে সংগতি রেখে বিআরডিবি বর্তমানে পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের মুখ্য ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিগণিত । 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নির্বাচনী অংগীকার “ রূপকল্প -২০২১”, “এসডিজি-২০৩০” এবং “রূপকল্প -২০৪১” বাস্তবায়নের জন্য পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সর্ববৃহৎ  প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিআরডিবি  নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সালথা উপজেলা একটি নব গঠিত উপজেলা সে হিসেবে বিআরডিবি প্রতিষ্ঠানটি নতুন।সালথা উপজেলায় এই প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ভবন নাই উপজেলা পরিষদের চতুর্থ তলায় প্রতিষ্ঠান টির জন্য চারটি রুম বরাদ্দ থাকলেও বর্তমানে অধিক প্রকল্প না থাকায় দুটি রুমে কার্য ক্রম চলছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে, উপজেলায় বিআরডিবির আওতায় মূল কর্মসূচী ইউসিসিএ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি প্রকল্প চালু রয়েছে।বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প-১ ‘একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প’ বাস্তবায়নে বিআরডিবি লিড এজেন্সি হিসাবে কাজ করছে। 

 

এক নজরে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) সালথা,ফরিদপুর এর চিত্রঃ

অত্র সালথা উপজেলায় বিআরডিবি’র কার্যক্রম ২০১০ সালে চালূ হয় ।

ক) এক নজরে ঘুর্নায়মান আবর্তক (কৃষি) ঋণের তথ্যঃ

০১। বিআরডিবি সদর দপ্তর হতে প্রাপ্ত রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে সৃষ্ট ঘুর্নায়মান আবর্তক (কৃষি) ঋণ তহবিলের পরিমান ২৭.০০ লক্ষ টাকা।

০২। প্রাথমিক সমবায় সমিতির  গঠন =৫৩ টি।

০৩। প্রাথমিক সমবায় সমিতির উপকারভোগী  মোট সদস্য সংখ্যা=১১১৮ জন।

০৪। প্রাথমিক সমবায় সমিতির উপকারভোগী  সদস্যেদের  কেন্দ্রীয় সমিতিতে জমাকৃত শেয়ারের পরিমাণ = ৫.২৫ লক্ষ টাকা।

০৫। প্রাথমিক সমবায় সমিতির উপকারভোগী  সদস্যেদের  কেন্দ্রীয় সমিতিতে জমাকৃত সঞ্চয়ের পরিমাণ = ৬.১০ লক্ষ টাকা।

০৬। প্রাথমিক সমবায় সমিতির উপকারভোগী  সদস্যেদের মধ্যে ক্রমপুঞ্জিত ঋণ বিতরণের পরিমাণ = ৬৬.৪৭ লক্ষ টাকা (৩০/০৯/১৯ ইং তারিখে )।

০৭। প্রাথমিক সমবায় সমিতির উপকারভোগী  সদস্যেদের মধ্যে হতে ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের পরিমাণ = ৪২.৬৪ লক্ষ টাকা (৩০/০৯/১৯ ইং তারিখে )।

০৮। ঋণ আদায়ের হার = ৬৪% ।

০৯। বর্তমান ঋণ প্রবৃদ্ধির পরিমাণ = ২৯.৭০লক্ষ টাকা।

 

খ) এক নজরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পোষ্যদের জন্য আত্নকর্মসংস্থান কর্মসূচীর ঋণের তথ্যঃ

০১। বিআরডিবি সদর দপ্তর হতে প্রাপ্ত রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে সৃষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মসূচীর ঋণ তহবিলের পরিমান ৩.০০ লক্ষ টাকা।

০২। উপকারভোগী  মোট সদস্য সংখ্যা= ৩৩ জন।

০৩। উপকারভোগী  সদস্যেদের মধ্যে ক্রমপুঞ্জিত ঋণ বিতরণের পরিমাণ = ৬.৪৬ লক্ষ টাকা (৩০/০৯/১৯ ইং তারিখে )।

০৪। উপকারভোগী  সদস্যেদের মধ্যে হতে ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের পরিমাণ = ৪.৫২ লক্ষ টাকা (৩০/০৯/১৯ ইং তারিখে )।

০৫। ঋণ আদায়ের হার = ৭০% ।

০৬। বর্তমান ঋণ প্রবৃদ্ধির পরিমাণ = ৪.৬৪ লক্ষ টাকা।